বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
সিএন প্রতিবেদক।।
উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং এলাকার শীর্ষ স্থানীয় ইয়াবা ডন জানে আলম। এলাকায় তার প্রকাশ্যে বিচরণ থাকলেও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। জানে আলমকে নিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে এলাকায় কানাঘুষাও কম নয়। এক সময়ের চায়ের দোকানদার জানে আলমের উত্থান এলাকাবাসীর কাছে বিস্ময়কর হলেও বাস্তবতা হচ্ছে ইয়াবার বদৌলতে সে এখন উপর কাতারের লোক। চলাফেলাও তার এলাকার সমাজ পতিদের সাথে। এলাকায় নিজ নামে জমি ছাড়াও রয়েছে একাধিক ডাম্বার। নোহা ও ট্রাক গাড়ী রয়েছে বেশ কয়েকটি। কুতুপালং ব্রাক অফিস সংলগ্ন এলাকায় নির্মানাধীন রয়েছে বিলাশ বহুল বাড়ী। পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে বেশ কযেকবার। এতকিছুর পরও সে রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার আছে,জানে আলমের সাথে স্থানীয় পুলিশের রয়েছে গোপন আঁতাত। বিশেষ করে রোহিঙ্গা আসার পর ক্যাম্প কেন্দ্রীক ইয়াবা ব্যবসা বৃদ্ধি পাওয়ায় জানে আলমকে আর পিছর ফিরে থাকাতে হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মানব বিরোধী অভিযানের মাঝেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে কুতুপালং পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দু মিয়ার ছেলে জানে আলম। পিতা আব্দু মিয়ার সাথে চায়ের ব্যবসায় হাতেকড়ি জানে আলমের উত্থানটা মূলতঃ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শুরু থেকে। শুরুর দিকে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের আনা-নেয়ার কাজে যুক্ত থাকলেও পরিবর্তিতে রোহিঙ্গাদের সাথে সখ্য থাকায় জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা বানিজ্যে। মুলতঃ ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য করে জানে আলম ও তার নিয়োজিত সিন্ডিকেট এখন কুতুপালং ও লম্বাশিয়া ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবার পাইকরী ব্যবসার নিয়ন্ত্রক। তার নিয়োজিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্যাম্প থেকেই যাচ্ছে দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা। রোহিঙ্গা যুবক-যুবতী ছাড়াও স্থানীয় যুবকদের কয়েকজন পাচারকারী জানে আলমের ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে বলে এলাকায় প্রচার আছে। এছাড়া ইয়াবা বানিজ্যের কালো টাকা সাদা করতে জানে আলম নাম লিখিয়েছে ক্যাম্পের ঠিকাদারী ব্যবসায়। বিভিন্ন এনজিও থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে কম দামে কাজ নিয়ে জানে আলম ইয়াবার কোটি কোটি অবৈধ টাকা বিনিয়োগ করার খবর পাওয়া গেছে। ঠিকাদারী ছাড়াও জানে আলমের নামে ক্যাম্প অভ্যান্তরে চলছে ২০ টির অধিক ডাম্বার,রয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রাক ও নোহা গাড়ী। এছাড়া এলাকায় সম্প্রতি বেশকিছু জমি কিনে তাতে ভাড়া বাসাও করে দিয়েছে এ ইয়াবা গড়ফাদার। উখিয়া কুতুপালং ব্রাক অফিস সংলগ্ন এলাকায় নির্মানাধীন রয়েছে বিশাল বহুল বাড়ী। এসব ব্যবসা বানিজ্য প্রকাশ্যে চললেও একবারও জানে আলমকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হতে হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন মুরব্বী জানালেন,চায়ের দোকানদার থেকে কিভাবে জানে আলম এত টাকার মালিক হলো তা এলাকার সবাই জানে।শুধু জানে আলম নয়,এলাকায় আরো অনেকেই আছে,যারা হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে। কয়েকজন পুলিশের সাথে তার ভালো সম্পর্ক। তাই হয়তো এতকিছুর পরও সে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান,মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে,উখিয়ায় মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
Leave a Reply